
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি: “রক্ত, ঘাম ঝরিয়ে যে দলকে আমরা গড়ে তুলেছি, সেই দলই এখন আমাদের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। জনগণ দ্বারা নির্বাচিত দলই আজ সেই জনগণের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্য এবং দেশের উন্নয়নের বিষয়টিতে নজর না দিয়ে ব্যক্তি ও পরিবারতন্ত্রই একমাত্র মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের জনসভায় বিজেপিতে যোগ দিতে যাবার আগে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে এমনই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি।দলবদল করে সেই সরকার সম্পর্কে শুভেন্দুর উপলদ্ধি , “সরকারের স্থবিরতা বড় সমস্যা।
পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্য দিয়েই এই সমস্যাটাকে দূর করা যেত। কিন্তু এই সরকারে তা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আর সে কারণেই আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। তৃণমূলের মধ্যে পচন ধরতে শুরু করেছে।
যে তৃণমূলের জন্য আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি।” অন্যদিকে , জনসভায় যাওয়ার আগে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলার মানুষ।’
শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মোট ৯ জন বিধায়ক, একজন সাংসদ, একজন প্রাক্তন সাংসদ, একজন প্রাক্তন মন্ত্রী, জেলা সভাপতি, পঞ্চায়েতের নেতা কর্মীরা।
৯ জন বিধায়কের মধ্যে ছয়জনই তৃণমূলের বিধায়ক।
- প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে লেখা খোলা চিঠিতে কৃষকদের যৌথ মঞ্চের আবেদন, মিথ্যা খবর না ছড়ানোর >>
এদের মধ্যে ছিলেন শুভেন্দু–ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডল, রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এবং আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে।বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক সৈকত পাঁজা, গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস এবং নাগরাকাটার বিধায়ক সুকরা মুণ্ডা, হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, তমলুকের সিপিআই বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখার্জি, কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্ময় ব্যানার্জি, তৃণমূলনেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী এবং ছয়জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা।
- প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে লেখা খোলা চিঠিতে কৃষকদের যৌথ মঞ্চের আবেদন, মিথ্যা খবর না ছড়ানোর >>
