
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি: তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। না করলে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির পথে ট্রাক্টর মিছিল করবেন, হুঁশিয়ারি কৃষকদের। তার জেরে স্তব্ধ হবে দিল্লি। সেজন্য ইতিমধ্যে হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে রওনা হচ্ছে শয়ে শয়ে ট্রাক্টর। আর সেই প্রস্তাবিত কিষান প্যারেডের মহড়া চলল বৃহস্পতিবার। দিল্লিগামী ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে।
এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল রাজধানী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ফের বৈঠকে বসার কথা কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন এদিন বৃহস্পতিবার ৪৩তম দিনে পড়েছে।
ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে দিল্লি পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (পশ্চিম) শালিনী সিং বলেছেন, ‘‘দিল্লির ভিতরে মিছিল প্রবেশের কোনও কথা নেই। সেই মতোই পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু রাজধানীর লাগোয়া অংশে রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সিরসা ও বিল আকবরপুর থেকে সোনিপতের দিকে আসা গাড়ি এক্সপ্রেসওয়েতে দুপুর ২টো থেকে ৫টার মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।”
এদিন সিংঘু সীমান্তে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের পক্ষে যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘২৬ জানুয়ারি যা হবে, এদিন তারই একটা মহড়া হিসেবে ধরা হচ্ছে।’
যাদব জানিয়েছেন, সিংঘু, টিকরি, গাজিয়াবাদ, হরিয়ানার রেওয়াসান থেকে ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন কৃষকরা।
মাঝপথে সাক্ষাৎ করে ফের বিক্ষোভস্থলে ফিরে যাবেন। ১১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে কৃষকদের আবেদনের শুনানি রয়েছে। শুনবেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ।
পুলিশের ধারণা, ২৬ জানুয়ারি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির পথে নামতে পারে ২,৫০০ ট্রাক।
হরিয়ানায়ও চলবে মিছিল। এসবের জেরে স্তব্ধ হতে পারে রাজধানী। ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। প্রবল ঠান্ডায় মারা গেছেন অন্তত ৪২ জন।
এদিকে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মামলায় বুধবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের পর্যবেক্ষণ, এতদিনও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
যদিও কেন্দ্রের দাবি, কৃষকদের সঙ্গে তাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত চাইছে , সমস্যার দ্রুত সমাধান বের করতে। সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে দুই পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছবে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন, ৮ জানুয়ারি ফের বৈঠক রয়েছে দুই পক্ষের। তার আগে আদালত কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হলে আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
