
TMC delegation being roughed up by Uttar Pradesh
ইস্টার্ন টাইমস ,নতুন দিল্লি ও কলকাতা: শুক্রবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের এক প্রতিনিধিদলকে হাথরাস যেতে দিলোনা উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ।রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এ দিন হাথরাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখনই তাঁদের আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বচসা, ধস্তাধস্তি।
অভিযোগ, পুলিশের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরাসে ঢোকার ঠিক দেড় কিলোমিটার আগে আটকে দেওয়া হয় এই প্রতিনিধি দলকে।
সেখানে বিশাল পুলিশবাহিনী আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। তৃণমূল প্রতিনিধিরা পুলিশকে জানান, তাঁরা শুধুমাত্র নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমবেদনা জানাতে যাচ্ছেন তাঁরা। অভিযোগ তা সত্ত্বেও সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
কেন তাঁদের নির্যাতিতার গ্রাম হাথরাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না? এই প্রশ্নেই পুলিশের সঙ্গে রীতিমত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
চলে ধস্তাধস্তি। প্রতিবাদ জানিয়ে এক সময় রাস্তায় বসে পড়েন প্রতিমা মণ্ডল, মমতাবালা ঠাকুররা। চিৎকার করে তাঁরা থাকেন , ‘মৃতার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই হাথরাসে যাচ্ছিলাম।
বিধি মেনেই পৃথক পৃথকভাবে যাচ্ছিলাম আমরা। আমাদের কাছে অস্ত্রও নেই। তাহলে কেন আমাদের যেতে দেওয়া হবে না ?
নির্বাচিত সাংসদদের আটকানো হচ্ছে- কী ধরণের জঙ্গলরাজ চলছে সেখানে? মাত্র দেড় কিমি আগে আমাদের আটকানো হয়েছে, পুলিশকে বলেছি আমরা হেঁটেই সেখানে যাব।’ মমতাবালার অভিযোগ, ‘মহিলা পুলিশকর্মীরা আমাদের ব্লাউজ ধরে টেনেছেন এবং আমাদের সাংসদ প্রতিমা মন্ডলের উপর লাঠিচার্জ করেছেন। তিনি পড়ে যান।
তারপর পুরুষ পুলিশ অফিসাররা তাঁর গায়ে হাত দেন।এটা লজ্জাজনক।’এদিকে কলকাতায় এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন “যোগীর প্রশাসন ভয় পেয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে আটকে দিয়েছে। যারা চুরি করে তারাই ভয় করে।”
তিনি অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে। যোগী রাজ্যের পুলিশ গণতন্ত্র বোঝে না বলেই তৃণমূল সাংসদের হেনস্তা করেছে।
এদিকে, হাথরাসকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পুলিশের বিরুদ্ধে নিহতের দেহ পরিবারের সম্মতি ছাড়া তাড়াহুড়ো করে সৎকারের যে অভিযোগ উঠে আসছে তা কেন করা হল খতিয়ে দেখতেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে আদালত।
১২ অক্টোবর আদালতে শরীরে উপস্থিত হয়ে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষস্থানীয় অফিসারদের ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।শুক্রবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চের কড়া নির্দেশ উৎসাহব্যঞ্জক। কারণ সারা দেশ হাথরসের নির্যাতিতার জন্য ন্যায়ের দাবি করছে।
যুবতীর পরিবারের প্রতি উত্তর প্রদেশ সরকারের অমানবিক এবং অনৈতিক ব্যবহারের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশ সেখানে আশার আলো। ’
