ইস্টার্ন টাইমস ,নয়াদিল্লি: রবিবার সন্ত্রাসী হামলায় ফের রক্তাক্ত হল ভূস্বর্গ। এদিন জঙ্গি-সেনা গুলির লড়াইয়ে খতম হল তিন জঙ্গি।
পাল্টা গুলিতে শহিদ হলেন তিন সেনা ও এক বিএসএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের ছক ছিল জঙ্গিদের। জম্ম-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় মাচিল সেক্টরে এই ঘটনায় তিন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা।
শনিবার মাঝরাত থেকে চলছিল গোলাগুলি। ধাপে ধাপে। চলল রবিবার বেলাতেও। দীর্ঘ এনকাউন্টারে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) সংলগ্ন এলাকায় নিকেশ হল তিন জঙ্গি।
এপ্রিলের পর থেকে এত বড় এনকাউন্টার হয়নি উপত্যকায়। শনিবার রাত একটা নাগাদ বিএসএফের টহলদারি বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সাড়ে তিন কিমি দূরে কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। তারপরেই শুরু হয় গুলির লড়াই।
এনকাউন্টারে প্রথমে একজন জঙ্গি খতম হয়। বিএসএফ কনস্টেবল সুদীপ সরকার শহিদ হন পাল্টা গুলির আঘাতে। ভোর চারটের সময় গুলির লড়াই থামে।
সকাল ১০টা ২০ নাগাদ ফের এলওসি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা যায়। শুরু হয় গুলির যুদ্ধ। তাতে মারা যান এক সেনা অফিসার সহ তিন জন। দু’জন জখম হন। দুই জঙ্গিও নিহত হয়। দুটি সংঘর্ষের ঘটনাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষার মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া। উল্লেখ্য ,গত ১ নভেম্বরে শ্রীনগরে পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে নিহত হয় হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা মির ওরফে গাজি হায়দার।
সেনা সূত্রে খবর, প্রতি বছর শীতের আগে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে যায়। কারণ শীতে পাহাড় বরফে ঢাকা থাকায় যাতায়াত সম্ভব হয় না। তাই এ সময় সীমান্তের ওপারে পাক জঙ্গি ডেরায় অপেক্ষারত অবস্থায় থাকে সন্ত্রাসবাদীরা।
