ইস্টার্ন টাইমস, কলকাতা: অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন পরিবহন মন্ত্রীর চেয়ারটাই বিতর্কিত। প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী একসময় আলিমুদ্দিনের সমান্তরাল সংগঠন চালাতেন রাজ্যজুড়ে। এখন অনেকটা যেন একই ভাবে তৃণমূল ভবনের সমান্তরাল চলতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর রামনগরের সভা থেকেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন না শুভেন্দু অধিকারী। রামনগরের সভায় জল্পনা আরও বাড়িয়ে শুভেন্দু বলেছেন, ‘ আমরা যেমন ছোটবেলায় হাতখড়ি দিই, সেরকম ১৯৯৬ সালে কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ভোটে জিতে আমি নির্বাচিত হই৷ আমি যে পদগুলিতে আছি, সবগুলি নির্বাচিত, মনোনীত নয়।আমি এখনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সদস্য।
আমি এখনও রাজ্য মন্ত্রিসভার সক্রিয় সদস্য। আমি যা করেছি তা পেশা নয়, নেশার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এখনও আমায় তাড়িয়ে দেননি।
আমিও ছেড়ে যাইনি। নীতি–আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমরা নই। আমি বসন্তের কোকিল নই। একদিনের লোক নই। মতান্তর থেকে বিভেদ হয়, বিভেদ থেকে বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু যতক্ষণ নিয়ন্ত্রকরা তাড়াননি ততক্ষণ এসব বলা উচিত নয়।
সমবায়িকার মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করা যায় না। শুভেন্দু অধিকারীর স্থান-কাল -পাত্র -জ্ঞান আছে ।’
তবে তিনিও যে আপাতত তৃণমূল ভবনের সমান্তরাল জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন তা তার কথাতেই স্পষ্ট। শুভেন্দু এদিনও বলেন, ‘এটা সমবায়ীদের মেগা শো।
কোনও রাজ্য বা দেশ এতো বড়ো সমবায় সভা করতে পারবেন না। দশকের পর দশক এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বলেই করতে পারি। অন্তত ৫ লক্ষ পরিবারের সঙ্গে সমবায়ের মাধ্যমেই আমার সম্পর্ক আছে। সবার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক। হলদিয়ায় ছটপুজোর অনুষ্ঠানে যাব, ৫ হাজার হিন্দিভাষী ওখানে আছেন। নন্দকুমার থেকে পুরুলিয়া অবধি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করব।’
জল্পনা বাড়িয়ে সমবায় সমাবেশ শেষে জয়তু সমবায় স্লোগান দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও তার বক্তব্যের মাঝে একটিবারের জন্যেও মুখ্যমন্ত্রী বা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম বা দলের নাম উচ্চারিত হয়নি।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ শেষ পর্যন্ত বরফ গলে কি না, সেটাই এখন দেখার৷ তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দুর মন বোঝার চেষ্টা করছেন দলের শীর্ষ নেতারা।তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন ,খুব শীঘ্রই তিনি কথা বলবেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
