ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: ফের বাজিমাত আই এফ এর করোনা উদ্বেগের মাঝে গত অক্টোবরে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ কলকাতা তে ফেরে প্রথম কোনো ক্রীড়া টুর্নামেন্টে হয় ভারতে । 20 নভেম্বর শুরু আই এস এল এবার আইএসএলের মাঝেই শুরু হতে চলেছে ১২৩ তম আইএফএ শিল্ড।
বুধবার শিল্ডের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল কলকাতা র এক পাঁচতারা হোটেলে।
কোভিড বিধি মেনেই ৬ ডিসেম্বর থেকে ১২ দল নিয়ে শুরু হতে চলেছে করোনা-কালের শিল্ড। ফাইনাল ১৯ ডিসেম্বর।
এটিকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে তাই এবারের শিল্ডে খেলবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। তাই শিল্ডের জৌলুস অনেকটা কম বলে মনে হলেও আই লিগের চারটি দল এবার শিল্ডে খেলছে। যার মধ্যে অন্যতম কলকাতার এক প্রধান মহামেডান স্পোর্টিং।
মহামেডান ছাড়াও আই লিগের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ, গোকুলাম কেরালা এফসি এবং সুদেভা এফসি খেলবে শিল্ডে। পাশাপাশি থাকছে কলকাতা লিগে খেলা আটটি দল।
এদিন গ্রুপ ড্র এবং শিল্ডের সূচি প্রকাশ করা হল। এবার আইএফএ শিল্ডে যে ১২ টি দল খেলছে তাদের চারটে গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে একটি করে আই লিগ খেলা দলকে রাখা হয়েছে।
এ-গ্রুপে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে রয়েছে খিদিরপুর এসসি এবং কালীঘাট এমএসবি-গ্রুপে সুদেভা এফসি-র সঙ্গে পিয়ারলেস ও এরিয়ান
সি-গ্রুপে ইন্ডিয়ানবি-গ্রুপে সুদেভা এফসি-র সঙ্গে পিয়ারলেস ও এরিয়ান সি-গ্রুপে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের সঙ্গে সাদার্ন সমিতি এবং জর্জ টেলিগ্রাফ ডি-গ্রুপে গোকুলাম কেরালা এফসি-র সঙ্গে বিএসএস স্পোর্টিং এবং ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাবশিল্ডের বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পাবে ৩ লক্ষ টাকা। রানার্স আপ দল পাবে দু লক্ষ টাকা।
আইএফএ এবার বিশেষ সম্মান জানাবে প্রয়াত কিংবদন্তি পিকে বন্দোপাধ্যায় এবং চুনী গোস্বামীকে।
খেলা শুরু হওয়ার সময় আপাতত ঠিক হয়েছে দুপুর একটায় প্রতিযোগিতার সেরা কোচকে প্রদীপ কুমার বন্দোপাধ্যায়ের নামে পুরস্কার এবং সেরা ফুটবলারকে চুনী গোস্বামী পুরস্কার দেওয়া হবেএদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এছাড়া আই এফ এ সচিব জয়দ্বীপ মুখোপাধ্যায় সভাপতি অজিত বন্দোপাধ্যায় আর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত।
সুজিত বসু আই এফ কে আরও স্পনসর এনে দেওয়া র প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়া আই এফের এদিন থিম সং প্রকাশ হয়”ফুটবল ফুটবল..
আমাদের গর্ব আইএফএ / ফুটবল ফুটবল…. আমাদের আবেগ আইএফএ / ফুটবল ফুটবল….
আমাদের স্বপ্ন আইএফএ।আই এফ এ সচিব জানান,“আইএফএ আমাদের গর্ব। এত দিন থিম সং ছিল না বলে কখনই তা থাকবে না এমনটা নয়। বিভিন্ন ক্লাবের নিজেস্ব থিম সং রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে মনে কি আইএফএ-র নিজস্ব থিম সং থাকাটা প্রয়োজন।”
এরপর তিনি বলেন,“স্বীকার করতে কোনও বাধা নেই আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছি আমরা। এই পরিস্থিতি থেকে আইএফএ-কে বের করে আনতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তাই নেব।
ঠিক মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা গেলে বা আইএফএ-র ব্র্যান্ডকে তুলে ধরতে পারলে স্পনসর জোগাড় করতে কোনও সমস্যা হবে না।’এভাবেই এগিয়ে যাক বাংলার ফুটবল।
