
‘পাঁচ বছর সুযোগ পেলে সোনার বাংলা গড়ব’
ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: লাল মাটির বোলপুরে জনজোয়ারে ভাসল অমিত শাহের রোড শো। ডাক বাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত হয় ব়্যালি। পরে বাংলায় পালাবদলের ডাক দিয়ে শাহ বলেন, ‘বোলপুরের সকল মানুষকে আমার নমস্কার। আজ যা রোড শো দেখলাম আমার রাজনৈতিক জীবনে তা এই প্রথম। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভালবাসার প্রকাশ এটা।
এই শো থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। জনতা বোঝাল ভাইপোর দাদাগিরি শেষ করতে চায় বাংলার মানুষ।’ শাহ বলেন , ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন, পরিবর্তন আনবেনই। এই পরিবর্তন পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন।’
অনুপ্রবেশ নিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তার পর রাজ্যবাসীর থেকে পাঁচ বছর সময় চেয়ে নেন। বলেন, ‘পাঁচ বছর সুযোগ পেলে সোনার বাংলা গড়ব।’
রবিবার সকালে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে আসেন অমিত শাহ। বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে শুরু করেন দিনের কর্মসূচি। বিশ্বভারতীতে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন , মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, দু’ জনেরই অনুপ্রেরণা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।এর পর উপাসনাগৃহ ঘুরে দেখেন শাহ।যান উত্তরায়নে।
এরপর সঙ্গীত ভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর সামনে ৫টি গান পরিবেশন করেন ছাত্রছাত্রীরা। এই সময় টুইটারে বাংলায় শাহ লেখেন , ‘শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভবনে ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা দার্শনিক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কবিগুরু’র অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং তাঁর চিন্তাভাবনা আমাদের আগামী প্রজন্মকে সর্বদাই অনুপ্রাণিত করবে।’
- প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে লেখা খোলা চিঠিতে কৃষকদের যৌথ মঞ্চের আবেদন, মিথ্যা খবর না ছড়ানোর >>
সেখান থেকে চলে আসেন শ্যামবাটিতে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ।’তোমায় হৃদমাঝারে রাখব’ গান শোনান বাসুদেব দাস ।
তার পর বোলপুরের ডাকবাংলো থেকে শুরু হয় রোড শো। এই রোড শো-য়ে ছিল নজরকাড়া উচ্ছ্বাস ও জনসমাগম।
অন্যদিকে, অমিত শাহের সফরের প্রতিবাদে শনিবার বোলপুর এবং বিশ্বভারতীতে দু’টি বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করে ‘গো ব্যাক শাহ’ স্লোগান দিয়ে বোলপুরে বিক্ষোভ দেখায় বাম-কংগ্রেস। বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চের তরফে বামপন্থী পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান বিশ্বভারতীতে।
উপাসনা মন্দির থেকে মিছিল করে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শাহের কুশপুতুল পোড়ান তাঁরা।অভিযোগ শনিবার রাতেই গৃহবন্দী করা হয় বিশ্বভারতীর ছাত্র নেতা ফাল্গুনী পান , সোমনাথ সহ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে।
