
ঘেরাও করা হবে আদানি ,অম্বানিদের প্রতিষ্ঠান
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি: কৃষক বিদ্রোহের সুর সপ্তমে।বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লিখিতভাবে দেওয়া তিন কৃষি আইনে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছে।তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় থাকার কথা ঘোষণা করেছেন কৃষক নেতৃবৃন্দ।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর গোটা দেশে জেলা সদর দপ্তরগুলি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কৃষকরা। রিলায়েন্স, আদানি, আম্বানিদের প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রী বয়কটের ডাক দেওয়া হল।১২ ডিসেম্বরের মধ্যে জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। তার পরে অন্য রাস্তাগুলিও একের পর এক অবরোধ করা হবে, হুঁশিয়ারি কৃষকদের।
আন্দোলনরত কৃষকদের ক্ষোভ নিরসন করতে বুধবার সরকারের তরফে লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয় কৃষকদের।
কেন্দ্রের লিখিত আশ্বাসে বলা হয় ,ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের পাওয়া নিশ্চিত করা হবে।বিরোধ মীমাংসার জন্য কৃষকরা সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে না গিয়ে সরাসরি করতে যেতে পারবে। সংসদে পেশ করা ইলেক্ট্রিসিটি এমেন্ডমেন্ট বিল প্রত্যাহার করা হবে।১৩টি কৃষক ইউনিয়নকে এই লিখিত আশ্বাস পাঠানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তা নাকচ করে দেন কৃষকরা।
অন্যদিকে , কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি পেশ করেন বিরোধীরা।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন পাঁচ বিরোধী নেতা।এঁদের মধ্যে ছিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার ,সিপিআইএম’র সীতারাম ইয়েচুরি ,সিপিআই’র ডি রাজা এবং ডিএমকে’র টি কে এস ইলানগোভান।
উল্লেখ্য ,কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বারংবার আলোচনার টেবিলে বসলেও জট কাটছে না। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। বারবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হচ্ছে।
এমনকি, মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠকে রফা না মেলায়, বুধবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, আগে তাঁরা কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাব আলোচনা করে দেখবেন তারপর বৈঠকে যাবেন।বুধবার বিকালে আন্দোলনের আগামী কর্মসূচি ঘোষণার পর ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন ,সরকার নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে , কৃষকরাও অনড় থাকবে।”
ওরা কুৎসা করে ঝড়ের বেগে, মিছিল করে লোক মারে’,বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মমতার তোপ >>
