২০০০০ কৃষকের বিরুদ্ধে এফআইআর হরিয়ানায়
ইস্টার্ন টাইমস ,নয়াদিল্লি : কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত ,উত্তরপ্রদেশ ,উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জনপদ । ড্যামেজ কন্ট্রোলে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন অধিকাংশ কৃষক সংগঠন।
ন্যনতম সহায়ক মূল্য পদ্ধতি ও মান্ডি প্রথা ফেরানোর দাবিতে অনড় আন্দোলকারী কৃষকরা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন , কৃষকরা যদি ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনায় বসতে চায় তাহলে সরকার রাজি আছে। কিন্তু তাঁরা আগে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান বিক্ষোভ সরিয়ে নিয়ে যাক, তার পরদিনই আলোচনায় বসবে সরকার।
কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া জায়গা বুরাড়িতে অবস্থান করার কথা বলেছিলেন শাহ।এ প্রসঙ্গে তিনি নিজে তিন কৃষক নেতা যোগিন্দার সিং উগ্রাহন, জৎজীত সিং ডালেওয়াল ও বলবির সিং রাজেওয়ালকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।কিন্তু কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া জায়গার বদলে দিল্লির যন্তরমন্তরেই নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ গড়ে তোলার সিদ্ধান্তেই অনড় কৃষকদের সংগঠন।
কৃষক বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক ভারতীয় কিষান ইউনিয়ানের সভাপতি যোগিন্দার সিং উগ্রাহন বলেছেন, ‘দিল্লি সামীনা বন্ধ না করে বুরারিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করার আর্জি জানিয়েছিলেন অমিত শাহ।
কিন্তু আমরা সেখানে যাব না। সীমানা আটকে থাকলে অসুবিধা হয় বুঝছি। তাই আর্জি জানিয়েছি যাতে যতন্তরমন্তরেই সরকার আমাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দেয়।’ যোগিন্দার সিং উগ্রাহনের দাবি, ‘আমরা একা নই। বহু সংগঠন এই বিক্ষোভে সামিল। তাই বলেছি কেন্দ্র আমাদের নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিক। আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (কাদিয়ান)’র সভাপতি হরমিত সিং কাদিয়ান বলেছেন ,’সরকারের প্রস্তাব মেনে বুড়ারি ময়দানে বিক্ষোভ সরিয়ে নিয়ে যাবার প্রশ্নই ওঠেনা’।অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছেন ,’হরিয়ানায় বিভিন্ন থানায় অন্তত ২০হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে এফ আই আর দাখিল করেছে পুলিশ ,রাজ্য সরকারের নির্দেশে’।
ভারত সরকারের তিনটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠন নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে মুখর।
তাদের দাবি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার, পোক্ত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন বলবৎ ও বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করা। দিল্লির বিক্ষোভে শামিল হতে গত ২৬শে নভেম্বর থেকে কৃষকরা লং মার্চ করে জড়ো হতে থাকেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়।দিল্লি প্রবেশের পাঁচটি সড়কপথেই রয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের এই ‘লং মার্চে’ অংশ নিয়েছে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় , দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্র ও ডেমোক্রেটিক ল’ইয়ার ফোরামের সদস্য আইনজীবীরাও।
তবে রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। তবে তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। ‘দিল্লি চলো’ মার্চের অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। রবিবারেও সেই আন্দোলনের তীব্রতা বজায় আছে ।
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-১ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-২ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-৩ >>
