
ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: বৃহস্পতিবার জয় হিন্দ সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু বছর তিন মাস পর ফের নতুন রূপে নতুন নামে চালু হল মাঝেরহাট ব্রিজ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধাপ্রদর্শনে তাঁর বিখ্যাত স্লোগানের নামেই এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এদিন সেতুর উদ্বোধনী ভাষণে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কাজে দেরি হওয়ার জন্য শহরবাসীর কাছে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো ঝুলন্ত সেতুর ধাঁচে তৈরি হয়েছে ‘জয় হিন্দ’ সেতুটি। আগে মাঝেরহাট ব্রিজের বহন ক্ষমতা ছিল ১৫০ টন। নতুন ব্রিজের ভার বহন ক্ষমতা বেড়ে ৩৫০ টন হয়েছে।
প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে ৬৫০ মিটার লম্বা সেতু দিয়ে চার লেনে গাড়ি চলাচল করবে। সেতুর ২২৭ মিটার ঝুলন্ত। মাঝেরহাট ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশ ও রেল লাইনের উপরের অংশে লাগানো হয়েছে বিদেশ থেকে আনা হয় বিশেষ কেবল। চালু হওয়ার পর মাঝেরহাট ব্রিজ দিয়ে দ্বিমুখী যান চলাচল করবে।
সূত্রের খবর, মাঝেরহাট ব্রিজ চালু হলেও বেইলি ব্রিজ থাকবে। তবে মালবাহী ভারী গাড়ি এখনই নতুন ব্রিজে উঠতে দেওয়া হবে না।
সাহাপুর রোড দিয়ে এতদিন নিউ আলিপুর থেকে তারাতলার দিকে গাড়ি চলাচল করতো। নতুন ব্রিজ চালু হওয়ার পর সাহাপুর রোড দিয়ে দ্বিমুখী গাড়ি চলাচল করবে।
এদিন উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা সব কাজ করব আর রেল কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করবে? তা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।’ এমনকী আর্থিক বিষয় নিয়েও রেলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। সেতু নির্মাণে রাজ্যের অবদান এবং আর্থিক খরচের কথা উল্লেখ করে এই কাজের জন্য রাজ্যের তরফে যে অর্থ নিয়েছে রেল, তা ফেরত দিয়ে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের কাছেও আবেদন করেন ব্রিজটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার। হেলমেটহীন অবস্থায় বাইক না চালানো-সহ একাধিক আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার এবং পূর্ত দপ্তর কে নির্দেশ দেয় যাদের বাইক কেনার টাকা আছে অথচ হেলমেট কেনার টাকা নেই তাদের বিনামূল্যে থানা থেকে হেলমেট বিতরণ করার।
প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বরে, ২০১৮ সালে বিকেলের দিকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। মূল কলকাতা থেকে বেহালা-জোকা এলাকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
