
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি: ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের জয়লাভের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
ভারত–মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতিতে দু’দেশই সমান জোর দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে টুইট করেছেন মোদি, ‘ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে কোভিড–১৯ অতিমারী ঠেকাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যায় পদক্ষেপে সহযোগিতা করা নিয়ে কথা হল জো বাইডেনের সঙ্গে।সামরিক সুরক্ষা, অর্থনীতি– সমস্ত বিষয়েই কথা হয়েছে।
ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছি। তাঁর এই সাফল্য ভারতের জন্য গর্বের ব্যাপার। ভারত–আমেরিকার সুসম্পর্কের একটি উৎসও বটে। ভারতীয়–আমেরিকান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তিনি উদাহরণ তৈরি করেছেন।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করার পরেই জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী-বাইডেনের ফোনে আলোচনার বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামেরিকাও।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ছিল। অনেকেরই অভিমত, ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। নির্বাচনের আগে শেষবার ভারতে সফর করেছিলেন ট্রাম্প। গুজরাতে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মোদী। অন্য দিকে, মোদী যখন অ্যামেরিকায় গিয়েছিলেন, তখন ট্রাম্প আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদী’।
গুজরাতের সভা থেকে মোদী মার্কিন ইন্দো-অ্যামেরিকান ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের জন্য ভোটভিক্ষা করেছিলেন। ফলে জো বাইডেনের জয়ের পরে অনেকেই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন।
মঙ্গলবার সকালেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটরা ভারতের কাছে ‘স্ট্রেঞ্জার’ নয়।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাইডেনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তারপরেই রাতে বাইডেনের ফোন আসে।ট্রাম্পের আমলে চীন সংঘাতে অ্যামেরিকাকে পাশে পেয়েছে ভারত। বাইডেনের আমলেও অ্যামেরিকা সে ভাবেই ভারতের পাশে থাকবে কি না, সেটাই এখন দেখার।
