
ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: বুধবার কাঁথিতে মিছিল করল তৃণমূল। সেই মিছিল শেষে সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। কে তৃণমূল ছেড়ে চলে গেল, কিছু যায় আসে না।’ কাঁথির সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দুকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন , ‘শুভেন্দু মমতাকে ছেড়ে চলে গেল।
ও মীরজাফরদের দলে নাম লিখিয়েছে। মানুষ মীরজাফরদের মেনে নেয় না।সরস্বতীর কোনও বরপুত্র এসে নন্দীগ্রামের আন্দোলন করেননি, দেখতে ভাল অনেকেই বলছেন তাঁরা নন্দীগ্রামের নেতা।
কিন্তু নন্দীগ্রামের আন্দোলন হয়েছে মমতার নেতৃত্বেই।’ এদিন তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে তীব্র কৌতূহল ছিল অধিকারী পরিবারের ভূমিকা কি হয় তা দেখার।
বাড়ির মেজ ছেলে সদ্য মমতার হাত ছেড়েছেন। এই অবস্থায় দলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কী শুভেন্দুর বাবা ও ভাই যথাক্রমে দুই তৃণমূল সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারী মিছিলে হাঁটবেন- তা নিয়ে কৌতুহল ছিল।
কিন্তু, তৃণমূলের এ দিনের কর্মসূচিতে যোগ দেননি অধিকারী পরিবারের কেউ।
এদিন মিছিল শেষে সৌগত রায় বলেন, ‘আবার প্রমাণ হল মমতার কোনও বিকল্প নেই। যারা সতীশ সামন্তের কথা বলে, তারাই শ্যামাপ্রসাদের দলে। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলালে মেদিনীপুর ক্ষমা করবে না।’
তৃণমূল ছাড়ার আগে, শুভেন্দু ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংসদ সৌগত রায়কে।
তিনি একাধিকবার শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর মধ্যস্থতাতেই শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। বৈঠকের পর সৌগত রায় দাবি করেন, শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকবেন।
কিন্তু, পরদিনই পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল বলে জানিয়ে সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করেন শুভেন্দু।
আজ শুভেন্দু দল ছাড়ার পর, তাঁর গড়ে গিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সৌগত রায়।তিনি বলেন ,’বৈঠকে অভিষেকের সামনে শুভেন্দু কোনও বিরোধিতা করেননি।
কিন্তু তারপরই বলছে ভাইপো হঠাও। এটা দ্বিচারিতা। বিধানসভায় ৯৯টির বেশি আসন পাবেনা বিজেপি। অমিত শাহ বাংলা নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন। মমতাকেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে।’
এদিন সুর চড়িয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিমেও ৷ তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় ৷ সিঁড়ি ভেঙে এখানে এসেছি ৷ কিন্তু তুমি উঠেছ লিফটে ৷
পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন শুভেন্দু, কিন্তু ২০০৯- কীভাবে মনোনয়ন পেলেন। শিশির অধিকারীর ঘরে জন্ম না নিলে কোনও দিন শুভেন্দু অধিকারী হতে পারতেন না। যেখানে ছিলে ওখানেই থাকতে হত।তৃণমূলে পরিবারতন্ত্র নেই। বরং পরবর্তী প্রজন্মকে আদর্শে দিক্ষিত করে তাঁদের রাজনীতিতে পাঠানো হয়। কিন্তু বিজেপি নেতারা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ধান্দাবাজির জন্য রাজনীতিতে পাঠায়।’
