অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
ফাইট কোনি ফাইট বলে হেরে গেলেন ক্ষিদদা । জীবনের শেষযুদ্ধ জিততে পারলেন না ক্ষিদদা । সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে এভাবেই স্মৃতির সরণিতে হাঁটলেন শ্রীপর্ণা মুখোপাধ্যায় । “কোনি”-তে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি ।
রিল লাইফের কোনি ও রিয়েল লাইফের শ্রীপর্ণা জানান “মিরাকেলের আশায় ছিলাম । ভেবেছিলাম এত সহজে উনি লড়াই ছেড়ে দেবেন না কিন্তু সব শেষ ।
লড়াইটা হেরে গেলেন ক্ষিদদা, ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি । কোনি ছবিতে আমার অনেক চাপ ছিল কিন্তু উনি আমাকে সেটা অনুভব করতে দেননি”।
তিনি বলেন,”ফাইট কোনি ফাইট ডায়ালগটি বিখ্যাত হয়ে গেছে। তবে বাস্তব জীবনে তিনি কতটা ফাইটার ছিলেন তা জানতাম না । কারণ সেই ঘনিষ্ঠতা ছিল না । দু’বছর মাত্র আমাদের দেখা হয়েছিল । তার নিরিখে বলতে পারি নিজের কাজের জায়গায় সৌমিত্রবাবু ছিলেন ডিসিপ্লিন, আবেগপ্রবণ ।
আর ওনার থেকে অনেক কিছুই শেখার ছিল। কাজ করার সময় নিজেকে সবকিছুর থেকে আলাদা করার মানসিকতা ছিল ওনার মধ্যে ।
একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারতেন। একজন বড় অভিনেতা । অন্যরা যা করুক, আমি নিজের গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকব , এটা ওনার মধ্যে ছিল না । আমরা ওনাকে কখনোই সেই আচরণ করতে দেখিনি । কাজটা ভালো করার জন্য সবার সঙ্গে মিশতেন ।
ভালো কাজ করার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন । সেটে সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতেন। কখনও বুঝতে দিতেন না উনি আসলে কী !’
কোনিই কী সৌমিত্র বাবুর সেরা ছবি ? এর উত্তরে শ্রীপর্ণা জানান,’যেহেতু আমি ছিলাম সেই কারণে বলবো না তবে এটা ঠিক কোনি বাংলা সিনেমার ট্রেন্ড মার্ক তৈরী করেছিল। ‘ফাইট কোনি ফাইট’ কথাটা এখনও অনেকের কাছে লড়াই করার প্রেরণা। ‘
