
কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাং
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি : গত নভেম্বরে নির্বাচিত সাংসদদের প্রথম অধিবেশন সোমবার শুরু হওয়ার আগেই মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি পার্টির (এনএলডি) শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ও বেশ কয়েক জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই সময়ে দেশটির সর্বময় ক্ষমতায় থাকবেন প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাং। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিন্ট সুয়ে আপাতত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।আপাতত এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত মায়াওয়াড্ডে নিউজ উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে মিয়ানমার টাইমস।
উল্লেখ্য , গত নভেম্বরের মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন নিয়েই এনএলডি ও দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৈরিতা চরমে পৌঁছেছিল ।
নির্বাচনে এনএলডি সরকার গঠনের মতো আসন পেলেও জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। কয়েকদিন ধরে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হতে পারে বলে যে শঙ্কা চলছিল।ক্ষমতাসীন এনএলডির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর রাজধানী নেপিদোসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ। পরিস্থিতি থমথমে।
বড় বড় শহরগুলোতে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ ।
এছাড়া, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি থেকে বলা হয়েছে, কারিগরিগত গোলোযোগের কারণে তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।মিয়ানমার দেশটি ২০১১ সাল পর্যন্তই সামরিক শাসনের মধ্যে ছিল।
বেশির ভাগ সময়েই বন্দি অবস্থায় ছিলেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেতা সু চি।পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নতুন করে নির্বাচিত সদস্যরা প্রথমবারের মতো সোমবার অধিবেশনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তা স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে আসছিল সেনাবাহিনী।
বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন হেড বলছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এটা পুরোপুরি সামরিক অভ্যুত্থান। যদিও সামরিক বাহিনী থেকে গত সপ্তাহে সংবিধান মানার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
এনএলডির মুখপাত্র মায়ো নিন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে বলেছেন, ভোরের দিকে সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও আরও কয়েকজন নেতাকে ‘ধরে নিয়ে যাওয়া’ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের জনগণকে বলতে চাই, তারা যেন, তাড়াহুড়া করে প্রতিক্রিয়া না দেখান। আমি চাই তারা আইন অনুযায়ী কাজ করুক।’
সেনাদেরকে বিভিন্ন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের বাসস্থানের সামনেও টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।উল্লেখ্য , মিয়ানমার ২০১১ সাল পর্যন্তই সামরিক শাসনের মধ্যে ছিল। বেশির ভাগ সময়েই বন্দি অবস্থায় ছিলেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেতা সু চি।
