
ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: আগামী ১৯ জানুয়ারি মমতার পাল্টা সভা খেজুরিতে করবেন শুভেন্দু অধিকারী।নন্দীগ্রামের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করলেন আগামী ১৯ জানুয়ারি খেজুরির কর্মসূচি। কিন্তু ইট-পাটকেল এবং ‘চোর’ স্লোগানে শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের সভায় কার্যত দক্ষযজ্ঞ বেধে যায় এদিন। জনতাকে সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরকে।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় , যে মাঝপথে বক্তৃতা থামিয়ে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। মাথায় ওঠে তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতাদের বিজেপি-তে ‘মেগা যোগদানের’ পালাও। এমনকি, বক্তৃতা না দিয়ে সভায় ইতি টানতে হয় শুভেন্দুকেও!
অন্যদিকে, শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবারই ছিল নন্দীগ্রাম দিবস। ওইদিন প্রায় দিনভর বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলেছে।
নন্দীগ্রাম কি আগামী দিনে শুভেন্দুর দলবদলের ম্যাজিকে ছিনিয়ে নেবে বিজেপি? সেটা বাজিয়ে দেখতেই শুক্রবার নন্দীগ্রামে জনসভা ছিল বিজেপির। নন্দীগ্রামকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে দু’পক্ষই।
সেখানেই গত ৭ জানুয়ারি সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। উপস্থিত থাকার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে রামনগরের বিধায়ক অখিল খিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাতিল হয় সভা। স্থির হয়েছে আগামী ১৮ জানুয়ারি সভা করবে তৃণমূল। তারই পাল্টা জবাব দিতে ফের সভার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার হাইভোল্টেজ সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলকে বিঁধলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষরা। এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘সিঙ্গুরের আন্দোলন ভুল হয়েছিল।
ভুল করেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সমর্থন করে। বাংলার যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাটাকে ফেরাতে আবেদন করবে।’ তারপরই মঞ্চে ওঠেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনিও তৃণমূলকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও একবার ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করেন।
ফের একবার গরু পাচার কয়লা পাচারের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’কে আক্রমণ করেন তিনি।
তারপরই মঞ্চে ওঠেন দিলীপ ঘোষ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় ঘাসফুল শিবিরকে আক্রমণ শানান তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িক লেগেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল দলবদল নিয়ে ভয় পাচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
রান্নাঘরে গেলে রান্নাঘর, বাথরুমে গেলে বাথরুমে পুলিশ যাচ্ছে।’ এছাড়াও আমফান-সহ একাধিক ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগে করেন দিলীপ ঘোষ। আগামী ১৮ জানুয়ারি সভা থেকে পাল্টা ঘাসফুল শিবির কীভাবে জবাব দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
- গঙ্গাসাগর মেলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হব : রাজ্য সরকারকে সতর্কবার্তা কলকাতা হাইকোর্টের >>
