
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি : শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপির অতিথিরা ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান দিয়ে কোনো গর্হিত কাজ করেননি।বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তৃতা না দিয়ে নেতাজিকে অপমান করেছেন।
এমনটাই মনে করেন বিজেপি নেতৃত্ব।রবিবার বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় মন্তব্য করেছেন , ‘জেনেশুনেই একাজ করেছেন তিনি (মমতা ), রাজ্যের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটারকে খুশি করতে।’
এদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাঁর চাঁছাছোলা জবাব, “নেতাজিকে শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্ব চেনে।
তাঁকে নিয়ে অনুষ্ঠানের অন্য গরিমা ছিল। সেই নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান থেকে চলে যাওয়া মানে তাঁকে অপমান করা।” শনিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি দাবি করেন, ‘জয় শ্রী রাম হচ্ছে অভিবাদন সূচক শব্দবন্ধ। যখন প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, তখনও বলা হয়েছিল। প্রহ্লাদ পাটেলকেও বলা হয়েছিল।
মমতা ব্যানার্জিকেও তাই বলে হয়েছে । জয় শ্রী রাম-এ কীসের অপমান? যে উনি বলছেন, ওনার অপমান হয়েছে! ভারতমাতা কি জয়-এ কীসের অপমান?”
এরপরই কৈলাস বিজয়বর্গীয় তোপ দাগেন, “এটা উনি জেনেবুঝে ভোটারদের খুশি করতে করেছেন। বাংলায় যে ৩০ শতাংশ(মুসলমান) ভোটার রয়েছেন, তাঁদের খুশি করতে করেছেন। আমরা সবসময়ই বলেছি, এই ৩০ শতাংশের জন্য ৭০ শতাংশ বরাবর উপেক্ষিত থেকেছে। এখন সময় এসেছে এই ৭০ শতাংশের সরকার গঠনের। বিধানসভা নির্বাচনেই মানুষ এর জবাব দেবে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার জন্য বলতে উঠতেই ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ওঠে দর্শকাসন থেকে।
‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এরপর মঞ্চেই সরাসরি তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত।
এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। আমাকে আমন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে, তারপর অপমান করা উচিত নয়।
তাই প্রতিবাদ স্বরূপ আমি কিছু বলছি না।’ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এরপরই আর কোনও বক্তব্য না রেখে নিজের আসনে ফিরে যান।
