ইস্টার্ন টাইমস ,নয়াদিল্লি : মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে আচমকাই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন রেলের কারণেই এখনও ব্রিজ চালু করা যায়নি।
৯ মাস আগে চালু করা যেত মাজেরহাট ব্রিজ। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে পূর্ব রেল।
রাজ্যের সামান্য কিছু অনুমতির জন্যই মাঝেরহাট ব্রিজের সমস্ত কাজ থমকে রয়েছে বলেই দাবি রেলের। পূর্ব রেলের এই দাবিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির।
মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন বলে তোপ দেগেছেন অমিত মালব্য।
বৃহস্পতিবার, মাঝেরহাট সেতু খুলে দেওয়ার দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তারাতলা। পথ অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আহত হন বেশ কয়েকজন মহিলা সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক। গ্রেফতার করা হয় ৪০ জনের ওপর বিজেপি কর্মী সমর্থক কে।
দীর্ঘক্ষণ তারাতলা এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রের গড়িমসিতেই সেতুটির পুনর্নির্মাণে ও খুলে দিতে সময় লাগছে।
টানা ৯ মাস রেল নয়া সেতু নির্মাণে অনুমতি না দেওয়ায় মাঝেরহাট ব্রিজ সম্পূর্ণ করতে বিলম্ব হয়েছে বলে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। এদিকে বিজেপির বিক্ষোভের, প্রতিবাদে সন্ধেয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল করে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ।
পূর্ব রেলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দিক থেকে অনুমতি না মেলায় মাঝেরহাটের কাজ থমকে আছে বলেই দাবি করা হয়েছে টুইটারে।
বিজেপির অমিত মালব্য টুইটে লিখেছেন, ‘মাঝেরহাট ব্রিজ না খোলা নিয়ে পিসির বাহানাকে নস্যাৎ করেছে পূর্ব রেলওয়ে। সিভিল ওয়ার্ক ছাড়া মমতার সরকার ব্রিজ তৈরির সংক্রান্ত বাধ্যতামূলক সুরক্ষা শংসাপত্র এখনও দিতে পারেনি। নির্বাচনের আগে ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য এই অযথা দেরি বলে মনে হচ্ছে। চরম অসুবিধায় পড়ছেন জনগণ।’
