
ইস্টার্ন টাইমস বিশেষ সংবাদদাতা , ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা বিনা বিচারে নিহত হচ্ছেন। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩৯ জন রয়েছেন।
সোমবার ঢাকায় সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি চলাকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন।
মির্জা বলেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্বিচার হত্যার প্রতিবাদে আজকে আমরা কালো ব্যাজ ধারন করেছি। এটা আমাদের একটা প্রতিবাদ। সেই অনুযায়ী আমিও আজকে এই সংবাদ সম্মেলন আপনাদের সামনে কালো পোশাক পরিধান ও কালো ব্যাজ ধারণ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। সরকার অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটা আমাদের দাবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বক্তব্যটা ভারতের কোনো সরকার বা জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আমার দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে বক্তব্য, তাদের জীবনের প্রশ্নে আমাদের বক্তব্য। এটা সবাই করছেন, দীর্ঘকাল ধরে করছেন। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময় সেগুলো তুলেছে। আমাদের কথা হচ্ছে যদি কেউ অপরাধ করে আইন আছে। ভারতেও আইন আছে।
যদি কেউ ই-লিগ্যাল ডেসপাস করে তাহলে তার ফরেন অ্যাক্টে বিচার হবে। যেটার মাধ্যমে এখনো তারা আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ সাহেবকে ওইভাবে আটকিয়ে রেখেছে।
এখনও উনি মুক্ত নন কারণ পুরোপুরি আটকানো আছেন। এখন পর্যন্ত তারা ওই মামলারও নিষ্পত্তি করেননি। সেই আইনে তো সীমান্তে যে বেআইনিভাবে প্রবেশ করছে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নিতে পারেন, আমাদের সরকার তাদের বিচার করতে পারেন। এই বিষয়গুলো সমাধান হওয়া দরকার। ’
মির্জা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে, এতে আশ্বস্ত হই। এটা ভালো কথা। এটা আমাদের জনগণকে একটা নিরাপদ বোধ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রমাণ করবো কি করে? ভারতের সমস্ত চাহিদাগুলো মেটাবো আর আমার যে সমস্যাগুলো সেই সমস্যার একটাও মিটবে না।
