
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি: মঙ্গলবারই বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথম সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর প্রথম দিনেই মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমেই তিনি বলেন, ৯৮ সালে বিজেপির আশ্রয় না পেলে উঠে যেত তৃণমূল।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রে ছাদনিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ’কে সঙ্গে নিয়ে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরের যোগ দেবার পর এটাই ছিল শুভেন্দুর প্রথম জনসভা। এই সভা থেকেই তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০০১ সালেই হতেন।
আমি বলব না আমার কথা, কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ অনেক কিছু দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বিধানসভা ভোট, পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তারপর লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল?
সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানি আশ্রয় না দিতেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ২০০১ সালে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেত।’ এরপর ‘ভাইপো’ সম্বোধন করে তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
গরুপাচার, কয়লা পাচার ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। ফের ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’ স্লোগান তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘একুশে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এবার শুধু কিডনি পাচার বাকি।’
এদিনও ‘বিশ্বাসঘাতক’ মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাসঘাতক নই, মীরজাফর নই। যার আত্মসম্মান আছে তিনি ওই দলটা করতে পারবেন না। ওটা একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।’
এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি কোনও শর্ত দিয়ে বিজেপি তে আসিনি। শুধু বলেছি, তোলাবাজ ভাইপো হটাতেই হবে।’ পরিবর্তনের পরিবর্তন করতেই হবে বলেন শুভেন্দু অধিকারী।
