ইস্টার্ন টাইমস, বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা, ২১ অক্টোবর: ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ এ রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান ।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রেন চলাচল শুরু হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নতুন আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন। শুরুতে এ রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চলবে।
সাক্ষাৎকালে ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েতে চলমান প্রকল্পসহ উভয় দেশের রেল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার শুরুতেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি নতুন লাইন উদ্বোধন ও ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সর্ম্পক অনেক গভীর-অকৃত্রিম। ভারত-বাংলাদেশের উন্নয়নেও সহযোগিতা করছে। ভারতীয় অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলে বহু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে-ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প সমাপ্তও হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, শুধু রেল সেক্টরে নয়, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সরকার সব সময় সহযোগিতা করবে। দু’দেশের মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে তা দিনদিন আরও উন্নত হবে। দু’দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও উন্নয়ন ঘটাতে চায় ভারত। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতাও আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলোর চালু করা যায় কিনা, কিংবা চালু করতে হলে কী কী করতে হবে- তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প চালু হলে ভারতীয় ট্রেন যশোরের বেনাপোল থেকে সহজে ও কম সময়ে ঢাকায় আসতে পারবে। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল ডিপো নির্মাণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
একইসঙ্গে সৈয়দপুরে একটি নতুন কোচ তৈরির কারখানা নির্মাণ বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা থাকবে বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়েতে ক্যাটারিং সার্ভিস এবং ট্রেনিং একাডেমি উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত।
