
ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা : কোয়েসের পুনরাবৃত্তি । আগের বিনিয়োগ সংস্থার মত এবার শ্রী সিমেন্ট-এর সঙ্গেও ঝামেলা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের । সিমেন্ট কর্তা রা চুক্তি পত্র পাঠিয়েছিলেন।
সেই চুক্তিপত্রে ক্লাব সই না করলে নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে থাকবে না এই বিনিয়োগ কারী সংস্থা । আইএসএলে এখন দল খেলছে, তাই ক্লাব বনাম বিনিয়োগকারী দুই মেরুতে অবস্থান নিয়ে কোনো ঝামেলা করা হচ্ছে না ।
তবে সিমেন্ট কর্তারা কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছেন ।
ক্লাব প্রশাসনে নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে । কিন্তু বিনিয়োগকারী সংস্থা বাঙ্গুর গোষ্ঠীর পাঠানো চুক্তিতে সই করার উদ্যোগ নেই ক্লাবের তরফে । চুক্তিপত্র কয়েকমাস আগেই পাঠানো হয়েছিল ।
তাতে স্বাক্ষর করেনি ক্লাব কর্তারা । বিনিয়োগকারী সংস্থা আর ধৈর্য ধরতে রাজি নয় । বাঙ্গুর গোষ্ঠীর এক কর্তার ভাষ্য অনুযায়ী ” আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাটছড়া বেধেছিলাম।
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ছিল । কিন্তু তার বাস্তবায়ণ বোধ হয় সম্ভব নয় । তাই চলতি আইএসএলের পরে আমরাও সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এখন বল ক্লাবের কোর্টে ।
ওরা যদি সই না করে তাহলে আর এই ক্লাবে কাজ করা সম্ভব নয় ।”
শুধু তাই নয়। ক্লাব বনাম বিনিয়োগ সংস্থার টানাপোড়েনের প্রভাব সাজঘরের অন্দরে অল্প মহলেও পড়তে শুরু করেছে । তাঁর কথায়, ” ফুটবলাররাও তাঁদের ভবিষতের কথা জানতে চায় কারণ এখন সবাই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করতে চায় । তাই আমরা মরসুম শেষে ফুটবলারদের সব জানিয়ে দেবো ।
অনেক আশা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল জার্সিকে আমরা ভালো বেসে এসেছিলাম। অনেক কাজ করতে চেয়েছিলাম আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করার ইচ্ছে ছিল । যা টাকা খরচ করেছি তাতে বিদেশে যে কোনো জায়গায় দল কিনতে পারতাম । ক্লাব যদি এখনও বোঝে তো ভালো সময় আছে এখনও ।’
ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো ইস্টবেঙ্গল কর্তা এই বিষয়ে মূখ খুলতে চাননি । ক্লাব কর্তারা এখনও তাঁদের দাঁত ফোঁটাতে নিজেদের অধিকারের বিষয় বুঝে নিতে চাইছে ।
এবছর আই এস এলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের খেলা সম্ভব ছিলনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নতুন ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট আসে ও ইস্টবেঙ্গল আই এস এলে অংশ নেয় ।
কিন্তু লাল হলুদ কর্তারা নিজেদের অধিকার ছাড়তে চাইছেন না। কর্তৃত্ব ছাড়তে না চাওয়ার কারণে ইনভেস্টরদের সঙ্গে ফের বিরোধ ।
