ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: বৃহস্পতিবার কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে মাঝেরহাট ব্রিজ খোলার দাবিতে মিছিল করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু কৈলাস বিজয়বর্গীয় মিছিলে যোগদানের আগেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। মাঝেরহাট ব্রিজ অবিলম্বে চালুর দাবিতে এই মিছিল বিজেপির।
পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হয়, লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়, গ্রেফতার বরণ করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এপ্রসঙ্গে মমতা বলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেনি, তাও বলছে গ্রেফতার করা হয়েছে । ভোটের সময় যারা গুন্ডামি করতে আসে, তারা বহিরাগত। বাংলায় বহিরাগতদের কোনও জায়গা নেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন । তাঁর দাবি, ‘রেল অনুমতি দেয়নি, তাই ৯ মাস ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
৯ মাস আগেই মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করা যেতে পারত। রেল অনুমতি দেয়নি, তাই ৯ মাস ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনুমতি চেয়ে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছিল, তখন বিজেপি কী করছিল? তাঁর মতে, ভোটের সময় বড়বড় ভাষণ দিতে চলে আসে।
নীচ দিয়ে রেল যাবে, সে কারণেই রেলের অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি না দিয়ে মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
এদিন তারাতলা মোড় থেকে মাঝেরহাট ব্রিজ পর্যন্ত মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথে আটকে দেয় পুলিশবাহিনী। বিজেপি কর্মীরা গার্ড রেল ছুঁড়ে ফেলে বিক্ষোভ দেখান।
পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।মহিলা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।
ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়। আটক করা হয়েছে একাধিক বিক্ষোভকারীকে।
নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। পথে নামে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকরাও। নিউ আলিপুর থেকে তারাতলা গামী রাস্তা বারবার যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
পরিস্থিতি সম্পূ্র্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দফায় দফায় বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যা। এরপরই তারাতলা মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। তাঁদেরও বিক্ষোভ থেকে উঠিয়ে দেয় পুলিশ।
মোড়ের আশেপাশের গলিতে থাকা বিজেপির নেতা-কর্মীদেরও টেনে বের করে আনতে দেখা যায় পুলিশকে। রেহাই পাননি মহিলা মোর্চার কর্মীরাও।
আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মী ও পুলিশ কর্মী। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
বিক্ষোভকারীদের পিছু হটাতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। যদিও লাঠিচার্জ-আটকের পরও বারবার করে ফের জমায়েত করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলেন তাঁরা।
