
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি: আন্দোলনরত কৃষকরা চাইলেই আবার আলোচনায় বসতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার।শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথা অনুযায়ী সংসদ অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সব সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
শনিবার সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘কৃষি আইন সাময়িক স্থগিত রাখতে প্রস্তুত সরকার।তিনটি নতুন কৃষি আইন আপাতত স্থগিত রাখার প্রস্তাব এখনও বহাল রয়েছে।কৃষক নেতারা একটা ফোন করলেই হল।
তা হলেই ফের আলোচনা শুরু করা যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন , কৃষকদের দাবি এবং সমস্যাগুলি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার।
এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে সব দলের নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন , ‘কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষকদের ফোন কলের অপেক্ষায় ছিলেন।
এ মাসের শুরুর দিকে কৃষক নেতাদের কাছে এই বিষয়টি জানানো হয়েছিল।’ সংসদ অধিবেশনের আগেই সর্বদলীয় বৈঠক হয়।
কিন্তু কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ১৯টি বিরোধী দল অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করেন।সেকারণেই শনিবার বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মোদী।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্র-কৃষক একাদশ তম বৈঠকে আমরা জানিয়েছিলাম যে সরকার সমস্ত আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
কৃষিমন্ত্রী তাঁদের থেকে ফোন পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কৃষকরা ফোনে একবার জানালেই তিনি আলোচনায় বসে পড়তেন। এই বিষয়গুলি এদিন বৈঠকে জানিয়েছেন মোদী।”
এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, শিবসেনা সাংসদ বিনায়ক রাউত, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দোপাধ্যায় , শিরোমণি অকালি দলের বলবিন্দর সিংহ ভুন্দের প্রমুখ ।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের অবস্থান জানান তাঁরা।বিরোধী দলগুলি বৈঠকে জানায় ,লালকেল্লায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা সমর্থন করে না তারা।
পাশাপাশি গোটা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে। প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন , কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন , “ বৈঠকে আমেরিকায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন এটা বড় অপমান। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মোদী।”
