ইস্টার্ন টাইমস ,নয়াদিল্লি: বিহার দখলের পর বাংলা অভিমুখে বিজেপির ফৌজ। ২০২১’র বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ ছিনিয়ে নিতে বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান দুই সভাপতি অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা ভোট যুদ্ধের রণকৌশল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।
সেই রণকৌশলে, প্রার্থী তালিকা তৈরী থেকে প্রচারকৌশল নির্ধারণ করা ,সবক্ষেত্রেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় টিম।রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে গোষ্ঠী দ্বন্দ বা নতুন-পুরোনোর সংঘাতের কথা স্মরণে রেখেই ভোট যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব কেন্দ্রীয় টিমের ওপর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি শীর্ষ সূত্রের খবর অনুযায়ী ,১১ জনের একটি কেন্দ্রীয় টিম গঠন করা হয়েছে বাংলার ভোটযুদ্ধে সাংগঠনিক রণকৌশল নিয়ন্ত্রণের জন্য।
এই ১১জন হলেন ,কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও দুস্মন্ত কুমার গৌতম , ৫জন কেন্দ্রীয় সচিব বিনোদ সোনকার (উত্তরপ্রদেশ), সুনীল দেওধর (মহারাষ্ট্র),বিনোদ তাওড়ে (মহারাষ্ট্র),হরিশ দ্বিবেদী (উত্তরপ্রদেশ),অরবিন্দ মেনন (দিল্লি),কেন্দ্রীয় আইটি ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য ,রাজ্য বিজেপির দুই কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তী ও কিশোর বর্মন।
উল্লেখ্য ,সম্প্রতি বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা দলের কেন্দ্রীয় কার্যবাহী সমিতি ঢেলে সাজিয়েছেন। নতুন পদাধিকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আগামী বিধানসভা নির্বাচনগুলি ছিল বিচাৰ্য বিষয়।
যে পাঁচজন সচিবকে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় টিমে রাখা হয়েছে তার মধ্যে সুনীল দেওধর ত্রিপুরার ভোটযুদ্ধে দলের জয় নিশ্চিত করার অন্যতম কারিগর ছিলেন।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের সময়ে শেষপর্বেও তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে সরকারিভাবে দলের অন্ধ্র শাখার সহ পর্যবেক্ষক।
এখন যিনি ত্রিপুরার সাংগঠনিক দায়িত্বে আছেন ,সেই বিনোদ সোনকারকেও রাখা হয়েছে বাংলার কেন্দ্রীয় টিমে। আর একজন কেন্দ্রীয় সচিব অরবিন্দ মেনন গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সংগঠনের সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিজেপির শীর্ষ সূত্রটির খবর অনুযায়ী ,কেন্দ্রীয় টিমের অনেকেই বাংলায় পৌঁছে গিয়েছেন। ২৯৪ টি বিধানসভা আসনকে বিভিন্ন জন্যে ভাগ করে পাঁচজন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। টিম পরিচালনায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কে সাহায্য করবেন আর এক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দুস্মন্ত কুমার গৌতম।
