
ইস্টার্ন টাইমস, নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর মাঝেই নয়া আশঙ্কা ভারতে। ফের শুরু হল ‘বার্ড ফ্লু’।এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। বার্ড ফ্লু নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বার্ড ফ্লু এতই মারাত্মক হতে পারে, এর কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৪ রাজ্য— কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশে ১২টি বার্ড ফ্লু আক্রান্ত অঞ্চল চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।এছাড়াও গুজরাট ও হরিয়ানাকে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, কী ভাবে পরিযায়ী পাখি, হাঁস, মুরগির মধ্যে এই রোগের সংক্রমণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বার্ড ফ্লু নিয়ে যে কেন্দ্র চিন্তিত, তা-ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
কেরলের বন ও পশুপালন মন্ত্রী কে রাজু জানিয়েছেন ১২ হাজার হাঁস ইতিমধ্যেই মারা গেছে। এছাড়া ৪০হাজার পাখিকে মেরে ফেলতে হবে।আলাপুজা ও কোট্টায়াম জেলায় পোল্ট্রির মাংস বেচাকেনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।রাজস্থানে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই রোগ। গোটা রাজ্য জুড়েই সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের পশুপালন মন্ত্রী প্রেম সিং প্যাটেল জানিয়েছেন ,রাজ্যের ১০টি জেলায় ৪০০ কাক মারা গেছে বার্ড ফ্লু-তে। গোটা রাজ্যেই ওই রোগের কারণে সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে।গুজরাটের জুনাগড় জেলায় ৫৩টি মৃত পাখি পাওয়া গেছে।হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলায় ২৪০৩ পরিযায়ী পাখির মৃত্যু হয়েছে বার্ড ফ্লু-তে।
কাংড়া জেলা প্রশাসন পোল্ট্রিজাত মাংস ,ডিম্,মাছ বেচাকেনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।হরিয়ানা পাঁচকুল্লা অঞ্চলে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বার্ড ফ্লু নিয়ে। নতুন করে জম্মু কাশ্মীরে বুধবার বার্ড ফ্লু সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সেই রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই কারণে পোল্ট্রি ও অন্য খামারগুলিকে নির্দেশিকা দিয়ে কঠোর নিয়ম মেলে চলতে বলা হয়েছে।
আর কোনও আশঙ্কা নেই সৌরভের , জানালেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেট্টি >>
সেখানে যাতে কোনও ভাবে রোগ ছড়িয়ে না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
বার্ড ফ্লু সংক্রমণ রুখতে নতুন করে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্নাটক। পাশের রাজ্য কেরলে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় এই রাজ্যও নতুন করে রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে। কর্নাটকের পশুপালন মন্ত্রকের মন্ত্রী প্রভু চৌহান বলেছেন, ‘‘বার্ড ফ্লু রুখতে সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেরল-কর্নাটক সীমানা দিয়ে যাতে কোনও পোল্ট্রি সামগ্রী প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।’’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস সরাসরি পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, এমন কোনও উদাহরণ এখনও পাওয়া যায়নি।
সরকারি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। প্যাকেজিং ও রান্নার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মেনে চললে, এই রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
