ইস্টার্ন টাইমস, কলকাতা: ‘হু ইজ বিমল গুরুং ? গুরুং চ্যাপ্টার ইজ ক্লোজ ‘ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এভাবেই মুখ খুললেন বিনয় তামাং।
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক সেরে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবিই করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রেসিডেন্ট বিনয় তামাং। জানালেন, নবান্নে স্রেফ জিটিএ নিয়েই বৈঠক হয়েছে, যা বেশ সদর্থক।
একদিকে, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জিটিএ নেতাদের বৈঠক, অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালেও গুরুং বিরোধী মিছিল সরগরম হয়ে ওঠে পাহাড়। একে হাতিয়ার করেই বিনয় তামাংরা গুরুংকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।মঙ্গলবার, দুপুর প্রায় পৌনে তিনটে নাগাদ নবান্নে আসেন বিনয় তামাং, অনিত থাপারা।
বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁরা সোমবারই চলে এসেছিলেন কলকাতায়। এদিন সকালেও বিনয় তামাং সুর চড়িয়েছিলেন গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। আর বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জিটিএ’র প্রধান সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তার সঙ্গে প্রায় ৪৫মিনিটের বৈঠক করেন বিনয়, অনিত থাপারা।
এরপর বিকেলে গোর্খা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা।পাহাড়ে রোজ গুরুং বিরোধী মিছিলের ছবি সামনে রেখে সাংবাদিক বৈঠকে বিনয় তামাং বললেন, ‘দেখছেন না পাহাড়ে রোজ কত মানুষ গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মিছিল করছে।
তাঁরা আর বিমল গুরুংকে চায় না। গত তিন বছর ধরে পাহাড় শান্ত আছে, সেই পরিস্থিতি জারি থাকুক, এটাই সবাই চান। গুরুং পালিয়ে বেড়ানো মানুষ। তাঁর কী-ই বা গুরুত্ব। পাহাড়ে গুরুং অধ্যায় শেষ।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চমীর দিন গুরুংয়ের আচমকা প্রত্যাবর্তন এবং তৃণমূলের সঙ্গে জোটবার্তার পর দলের তরফে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে যে টুইট করা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিনয় তামাংয়ের পালটা প্রশ্ন, ‘কোনও নেতার মুখে কি এ ধরনের কোনও মন্তব্য শুনেছেন?’ মুখে যতই গুরুংকে ‘গুরুত্বহীন’ বলুন, পাহাড়ের রাজনীতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার বিমল গুরুং প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে সেটা ভালই বোঝেন বিনয় তামাং।
