
ইস্টার্ন টাইমস ,কলকাতা: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে অ্যালকেমিস্টকর্তা কর্ণধার কেডি সিংকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। বুধবারের এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। ধৃত অ্যালকেমিস্ট কর্তা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বশুরবাড়ির তরফে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।ফলে চিটফান্ড কাণ্ডে তাঁর এই গ্রেপ্তারিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধছে সিপিআইএম-বিজেপি।
বুধবার ভগবানপুর জনসভা থেকে কেডি সিং গ্রেপ্তারি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘এই চিটফান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল নেতারা।
পঞ্জি স্কিমের আড়ালে হাজার-হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এবার তাদের সম্পত্তি বেচে গরিব মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া হক।’ একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘কান টানলেই মাথা আসে। এবার রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বেন।’
তবে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের গ্রেপ্তারি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সুকৌশলে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন কেডি সিং কে। তিনি বললেন, ‘ইডি অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা। কেডি সিং-এর দোষ দেখেছে তাই গ্রেপ্তার করেছে। ওর সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি এখন আর দলের রাজ্যসভার সাংসদও নন।’ সবমিলিয়ে একুশের নির্বাচনের আগে চিটফান্ড মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের গ্রেপ্তারি ঘিরে পারদ চড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কে ডি সিংহ গ্রেফতার হয়েছেন। তার গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল অনেক আগে।
দেরি করতে করতে শেষমেশ এখন গ্রেফতার করা হল। প্রতারিত মানুষগুলোর কি টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত হল? তার উদ্যোগ কি সিবিআই নিল?
লোক দেখানো কাজ যেন না হয়। মাননীয়ার কাছে আমাদের প্রশ্ন, কে ডি সিংহ কি ‘ভাইপোর’ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন? কে ডি সিংহের প্লেন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করে গোপনীয়ভাবে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসা হয়েছিল। তাতে কারা কারা সওয়ারি হিসেবে ছিলেন?
তিনি বাংলার মানুষ না হওয়া সত্বেও তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করা হল কেন? অর্থ ফেরতের দায়িত্ব মাননীয়ার রয়েছে কি না? এদিন প্রশ্ন তোলেন সুজন চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, এদিনই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিংকে দিল্লির আদালতে পেশ করে ইডি। আদালতে প্রাক্তন সাংসদকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
