
পার্থপ্রতিম মৈত্র
পর্ব-৫: ট্রিটমেন্ট
কোভিদ-১৯ এর চিকিৎসা কী? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে কোভিদ-১৯ অতিমারীর বিশ্বব্যাপী উত্থান যত মানুষকেই আক্রান্ত করুক না কেন, এ রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধ নেই।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর), জানিয়ে দিয়েছে সামগ্রিক মৃত্যুর হার, ভেন্টিলেশনে রাখা এবং হাসপাতালে ভর্তিকালীন সময়ে কোভিদ-১৯ রোগীর ওপর রেমডেসিভিয়ার, হাইড্রোক্সিলোরোকুইন, লোপিনাভির এবং ইন্টারফেরন রেজিমেনগুলির প্রভাব খুব কম, বা নেই বললেই চলে।
কোভিদ-১৯ একটি ভাইরাসের কারণে ঘটে এবং সেজন্য কোনও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা অর্থহীন। আজ অবধি, নতুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই।
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে নবপর্যায়ের করোনা (সার্স-কোভি-২) সংক্রমণটি ড্রপলেট, অ্যারোসোল এবং ফোমাইট আকারে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি কয়েক ঘন্টা অ্যারোসোলগুলিতে এবং কয়েক দিন পর্যন্ত যে কোনও সারফেসে কার্যকর থাকতে পারে। আপনার মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে (যেমন আমার মনে আজও প্রশ্ন) কোনও ওষুধই যদি না থাকে তাহলে, সুপার স্পেশালিটি, স্পেশালিটি বা কোভিদের জন্য উৎসর্গীকৃত হাসপাতালগুলিতে কী ধরণের চিকিৎসা হয়, যাতে দশলক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়? আসলে কোভিদ আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রুগীদের কোভিদ চিকিৎসা হয় না।
ওটা লাইফ সাপোর্টের মূল্য। জ্বর হলে জ্বর উপশমের ওষুধ, কাশি হলে উপশমের দাওয়াই, শ্বাসকষ্ট হলে ভেন্টিলেশন, তাছাড়া দৈনিক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা, বেশ কয়েকবার কোভিদ টেস্ট, দিনে তিনবার পিপিই এবং মাস্ক পাল্টানো, এইসব অতি-আবশ্যকীয় (!) কাজে খরচ বাড়ে। তাছাড়া কো-মর্বিডিটি থাকলে তো সোনায়-সোহাগা।
রুগীর আত্মীয় স্বজন তো আর আক্রান্ত মানুষটির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় না। ফলে হাসপাতালের পোয়াবারো।
দেশজ মানসিকতায় “মওকা যখন পাওয়া গেছে লুটে নে” বলে, সবাই শ্বদন্ত বার করে ঝাঁপিয়ে পড়ছে মুমূর্ষু রুগীটির উপর। এই নির্মম এবং এবং পাশবিক চিকিৎসাপুরাণে বিজ্ঞান এবং মমত্বের কোনও স্থান নেই। এখানে মরে যাবার পরে মৃতদেহ আটকে রেখে কোভিদ পরীক্ষা হয়। সরকারী হাসপাতালগুলি সামর্থ্য অনুযায়ী সার্ভিস না দিলে অবস্থা কোথায় পৌঁছাতো ভাবলে রক্ত হিম হয়ে যায়।
এতদিন ধরে অ্যাসিম্পটোমেটিক করোনার গল্প শুনিয়ে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন এও বলছে যে, লক্ষ্মণবিহীন লোকদের কাছ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা ‘বিরল’।
বলা হচ্ছে অ্যাসিম্পটোমেটিক ক্যারিয়ার, সংক্রমণের মাত্র ৬ শতাংশের জন্য দায়ী হলেও হতে পারে। গত ৮ই জুন, হু-এর কোভিদ-১৯ কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন যে “অনেক দেশই অ্যাসিম্পটোমেটিক রোগী, বা যাদের কোনও ক্লিনিকাল লক্ষ্মণ নেই, তাদের থেকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলি রিপোর্ট করছে।
তবে এই কেসগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করা হলে দেখা যাচ্ছে যে ঘটনার সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে”। এদিকে অ্যাসিম্পটোমেটিক সংক্রমণের তত্বের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে করোনা অর্থনীতি ও রাজনীতি। ফলে মুখ ফস্কে বলে ফেলায় মারিয়া ভ্যান কেরখোভের প্রেস ব্রিফিং বোলতার চাকে অজান্তে ঢিল ছোঁড়ে।
ফলে তাকে বাধ্য করা হয় আবার প্রেসের সামনে বলতে যে, “আমি বলিনি যে অ্যাসিম্পটোমেটিক করোনা আক্রান্তেরা সংক্রমণ করতে পারে না। তারা পারে, ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, “প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কী পারে? এবং যদি তারা পারে, তবে তা কত ঘন ঘন ঘটছে?” একশো আশী ডিগ্রি ঘুরে ভ্যান কেরখোভ বলেছেন যে, “এখনও পর্যন্ত এর সুস্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি, তবে হু-র বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায় যে, লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে এমন ব্যক্তিরাই বেশির ভাগ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দায়ী”। তবে এত বাধ্যতার মধ্যেও কেরখোভ বলেছেন যে, “ট্রান্সমিশন প্যাটার্ন এবং অ্যাসিম্পটোমেটিক ক্যারিয়ার সম্পর্কে আরও গবেষণা করা দরকার”।
তবে যতই বিতর্ক যা নিয়েই হোক না কেন, কোভিদ-১৯, পৃথিবীতে থাকতে এসেছে। সেটা এই কারণে নয় যে এখনও ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয় নি।
এই কারণে নয় যে করোনা হাইলি কন্টাজিয়াস এবং এর মর্টালিটি রেট হাই। করোনা পৃথিবীতে টিঁকে থাকবে দুটো কারণে। এক, রাষ্ট্রশক্তিকে সর্বতোভাবে সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাপী এত ভালো অসুস্থতার জন্ম হয়নি আগে। প্রথমতঃ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সর্বদিক থেকে রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়াই এর কাজ। লকডাউন, ফিজিকাল ডিসট্যান্সিং, স্যোশাল গ্যাদারিং আর পরিবারের বাইরের লোকের সংসর্গ বাঁচানো।
সামাজিকতার অবসান। মানবিকতার অবসান। দুই, এই রোগের সবচাইতে ভীতিপ্রদ উপাদান ভয়। ভয় নিজের জন্য নয়। পরিবারের জন্য। অনেকে সন্দেহ করতে শুরু করেছেন যে সেই কারণেই খুব প্রচলিত রোগলক্ষণগুলিকে খুঁজে খুঁজে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, গায়ে হাত পায় ব্যাথা, গন্ধ না পাওয়া, পালস রেট বাড়া, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমা, বুক ধড়ফর করা ইত্যাদি।
রোজ তালিকায় নতুন নতুন সাধারণ শরীর খারাপকে মারাত্মক লক্ষ্মণ বলে, তালিকাভুক্ত করে ফেলা। এসব রোগলক্ষ্মণ জন্মমুহূর্ত থেকে আমাদের সঙ্গী হয়। মৃত্যুমুহূর্ত পর্যন্ত সঙ্গ ছাড়ে না। এরাই নাকি কোভিদ-১৯। এরা তো থাকবেই। ফলে কোভিদও থাকবে। রোগ নাকি ভিতরে আছে। থাকলে কী? টেস্ট না করলে তো বোঝা যাবেনা। সেদিন পর্যন্ত যুক্তি ছিল, তুমি না হয় অ্যাসিম্পটম্যাটিক, কিন্তু ক্যারিয়ার তো? ছড়াতে পারো তো? লক্ষ্য রাখতে হবে এরা নেক্সট কী বলে।
অতএব করোনা জাতীয় একটি ভাইরাস এর উপস্থিতি শরীরে থাকলেই যে কোনো মৃত্যুকে করোনা মৃত্যু হিসেবে ঘোষণা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আমাদের অবহিত করবেন, এ আশা সুদূরপরাহত।
গোটা বিষয়টি একটি অনচ্ছতার চাদর ঢাকা হয়ে রয়েছে। কতজনের টেস্ট হলো, কত পিপিই আমদানী করা হলো, তার মধ্যে খারাপ কতো, সে গুলো ফেরত করে টাকা ফেরত পাওয়া গেল কি না, কিছুই জানা যায় না।
এমনকি আমাদের এটাও জানতে দেওয়া হচ্ছে না যে এদেশে যারা করোনায় মারা গেছে তারা আসলে কোন এজ গ্রুপের? তারা কি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা? তারা তরুণ-তরুণী ? তারা কিশোর-কিশোরী? তারা নারী-পুরুষ ? সামাজিক-অর্থনৈতিক স্তরে তাঁর অবস্থান কী?
কনট্যাক্ট ট্রেসিং (আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা মানুষটিকে খুঁজে বার করে তাকে কোয়ারেন্টাইন করা) চালু হয়ে গেছে। অথচ বিনাইন একটি ভাইরাসে আক্রান্তদের কনট্যাক্ট ট্রেসিং কোনও আন্তর্জাতিক মহলই সুপারিশ করেনা। ফ্লু মহামারীর সময় কি কনট্যাক্ট ট্রেসিং চালু করা হয়েছিল? যদিও ফ্লু মহামারীর প্রাণঘাতী ক্ষমতা ছিল অনেক বেশী।
যারা মারা গেছেন কোভিদ-১৯ ভাইরাসের কারণে, আর যাদের শরীরে কোভিদ-১৯ ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছিল কিন্তু মৃত্যু ঘটেছে অন্য রোগে (কো-মর্বিডিটি), তাদের মধ্যে পার্থক্য করা হয় না।
পরীক্ষা না করেই, অটোপ্সি না করেই, মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ-সার্টিফিকেটে কোভিদ-১৯ যুক্ত করার জন্য চিকিৎসকদের চাপ দেওয়া হয়। এতে মৃত্যুর সংখ্যাকে বাড়িয়ে দেখানোর কাজে সহায়তা করে। বহুক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানগুলি এক একটি মর্মান্তিক ধাপ্পাবাজি।
৩১ শে জুলাই, উত্তর আমেরিকার একটি দেশের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর পরিচালক চিহ্নিত করেছেন যে, হাসপাতালগুলির কাছে করোনা ভাইরাসজনিত মৃত্যুর কারণ বাড়ানোর জন্য একটি বিকৃত অর্থনৈতিক প্ররোচনা রয়েছে তা সত্য। পশ্চিমবঙ্গে কো-মর্বিডিটির কারণে মৃতের সংখ্যা কম দেখানোয়, কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তরকে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষ থেকে অনবরত বলা হচ্ছে লক্ষণ দেখা গেলে যে কোনও ব্যক্তির যেখানেই সম্ভব পরীক্ষা করা উচিত। যে সমস্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলি নেই এবং যাদের সংক্রামিত, বা হতে পারে তার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তারাও পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। আবার এও বলা হচ্ছে ৪০% ব্যক্তিই লক্ষ্মণহীন। তার মানে কি সবাইকে কোভিদ টেস্ট করাতে বলা হচ্ছে? ভারতের মত দেশে কোভিদ টেস্টের খরচ আড়াই হাজার টাকা। তাও একবার করালে হবে না।
পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলে সেটা যতক্ষণ না নেগেটিভ হচ্ছে অর্থাৎ কমপক্ষে জন প্রতি তিনবার পরীক্ষা করাতে হয়। যে পরিবারে তিন বা চারজন সদস্য, তাদের পরীক্ষার খরচ এবং এই লকডাউন পিরিয়ডে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার জন্য বিশেষ পরিবহনের খরচ ধরলে, ত্রিশ বত্রিশ হাজার টাকা টোটাল।
লকডাউনে কর্মচ্যূত উপার্জনহীন মানুষ এই টাকা পাবে কোথায়? সেখানেও যারা সংক্রমণের ঝুঁকিযুক্ত, যেমন স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকির ক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তিরা, অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
কিন্তু এই সামাজিক দূরত্বের যুগে কে কাকে অগ্রাধিকার দেয়। বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, সার্স-কোভি-২ সনাক্ত করতে এবং কোভিদ-১৯ নিশ্চিত করতে একটি মলিকিউলার টেস্ট ব্যবহৃত হয়।
পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া (পিসিআর) সর্বাধিক ব্যবহৃত মলিকিউলার টেস্ট। নাক এবং / অথবা গলা থেকে একটি সোয়াব দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই পরীক্ষা সনাক্তকরণের স্তরে ভাইরাল জেনেটিক উপাদানকে ব্যবহার করে নমুনায় ভাইরাস সনাক্ত করে। যদিও একটি মলিকিউলার টেস্ট একটি সক্রিয় সংক্রমণ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এই পরীক্ষাটি সময় সাপেক্ষ এবং খরচসাপেক্ষ।
প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে খরচ প্রায় ৪৫০০ টাকা। পাশাপাশি আরডিটি (রাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট) বা অ্যান্টিবডি টেস্ট দ্রুত ভাইরাল প্রোটিনগুলি সনাক্ত করে (অ্যান্টিজেন হিসাবে পরিচিত)। এই পরীক্ষাগুলি পিসিআর এর চেয়ে কম সস্তা এবং ফলাফলগুলি আরও দ্রুত সরবরাহ করবে, যদিও এগুলি সাধারণত কম নির্ভুল হয়।
কোভিদ-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা গোটা আফ্রিকা মহাদেশে সর্বমোট ১৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৫৩ জন আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা মাত্র ৩০ হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত সাত লক্ষ ৩৭ হাজার ২৭৮ জন। সেখানেই মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮০৯ জন। তাহলে বাকী মহাদেশে কত? প্রশ্ন হচ্ছে আফ্রিকায় সংক্রমণ বা মৃত্যুহার কম কেন? ঘাতক ভাইরাসগুলির মধ্যে ইবোলা ছিল সবচেয়ে মারাত্মক।
আফ্রিকায় ইবোলা আক্রান্তদের মৃত্যুহার ছিল ৪০% থেকে ৯০% এর মধ্যে। সাধারণভাবে ইবোলা আক্রান্ত ৬০% মানুষেরই মৃত্যু ঘটে।
কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় সংক্রামক ব্যাধিই যেমন এই ধরনের উচ্চ মৃত্যুহার দাবি করতে পারে। কিন্তু সার্স-কোভি-২ ভাইরাস তো সে তালিকার শেষ দিকেও নেই। তবে কেন তা ভয়ঙ্করতম সংক্রামক রোগের স্ট্যাটাস পেলো? যার জন্য সমগ্র পৃথিবীকে স্তব্ধ নিশ্চল করে দেওয়া যায়? এর দুটি উত্তর হয়।
প্রথম উত্তরটি ভাইরাসের একটি মৌলিক দিকের সাথে সম্পর্কিত। সাধারণতঃ ভাইরাস তাদের হোস্টকে মেরে ফেলতে পছন্দ করে না। জীবন্ত হোস্ট এর শরীরই তার আশ্রয়। তার বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্র ।তাহলে কোভিদে মৃতের সংখ্যা ইবোলার থেকে বেশী কেন? প্রথমতঃ এই মৃতের তালিকা একটি গোলমেলে বিষয়।কে কোভিদে মরছে আর কে কোমর্বিডিটিতে তা আবিষ্কার করা কঠিন। তাছাড়া কেউ যখন কোভিদ ভাইরাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তারা খুব দ্রুত শয্যাশায়ী হয়।
ওরা কুৎসা করে ঝড়ের বেগে, মিছিল করে লোক মারে’,বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মমতার তোপ >>
সে ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের রোগ ছড়িয়ে পড়া সত্যিই শক্ত। কোভিদ সংক্রমণের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকা ব্যক্তিরা হলেন অসুস্থ, শয্যাশায়ী আক্রান্তদের যত্ন নেওয়ার জন্য যাদের খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তারা।
ঘরে বা হাসপাতালেই থাকুন না কেন। দ্বিতীয় উত্তরটি হচ্ছে আতঙ্ক বিক্রির ব্যবসা করা, ত্রাসের রাজনীতির চর্চা করা, সমাজকে দূরত্বের ইউনিটে ভেঙ্গে ফেলা, কোভিদ-১৯ কে এতটা বাড়িয়ে তুলেছে।
বয়ষ্ক, বিভিন্ন ব্যাধির প্রকোপে ইমিউনিটি রিক্ত হওয়া, বিভিন্ন মারণ রোগে আক্রান্ত মানুষ ছাড়া কোভিদ-১৯ প্রাণঘাতী নয় বলেই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। কোভিদ একটি সংক্রামক ভাইরাস বাহিত শ্বাসকষ্টের রোগ। এর সঙ্গে ত্রাস যুক্ত করলেই সেটা অতিমারী হয়। ভাইরাল ফিভার এর মত যার সদর্থে কোনও চিকিৎসা নেই। আসে, চলেও যায়।
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-১ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-২ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-৩ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-৪ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা র্ব-৫>>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-৬ >>
- বিশেষ অজ্ঞের কোভিদ জিজ্ঞাসা পর্ব-৭ >>
