
ইস্টার্ন টাইমস ,কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার অবসান হল।শুরু হলো নতুন জল্পনা। সেই জল্পনা তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগের মিছিলটা কত বড় হতে পারে তা নিয়ে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও সাংসদদের প্রকাশ্যে শুভেন্দুর সপক্ষে বিবৃতিও অব্যাহত। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কী ২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ দল ছাড়তে চলেছে।
এখন প্রশ্নটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সংখ্যাটা কত ?
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু। সেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় হাজির থাকেবন তিনি। মনে করা হচ্ছে এমনকী ওই সমাবেশে শুভেন্দুকে সামনে রেখে বেশ কিছু ঘোষণাও করতে পারেন শাহ।কিন্তু কলকাতা থেকে দুপুরের বিমানে দিল্লি যাবার টিকিট কাটা থাকলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত মেদিনীপুর থেকে বেরোননি শুভেন্দু।
পরিবর্তে তিনি যান তমলুকের নিমতৌড়িতে একটি ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচিতে। এবার মূল প্রশ্ন, তৃণমূলের আর কোন কোন সাংসদ বা বিধায়ক শুভেন্দুর সঙ্গে যোগ রেখে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন?
এক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র-যুব নেতা ও বর্তমানে বিজেপির যুব নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙতে তৎপর। সূত্রের খবর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সংগঠনে ধ্বংস নামাতে সচেষ্ট একাংশ।আসলে উত্তরবঙ্গে জমি শক্ত করার পর বিজেপি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গ ও রাঢ়বঙ্গে জমি দখলের লড়াইয়ে।
তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক বিধায়ক ও সাংসদ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিষোদগার করে চলেছেন ।
স্বাভাবিকভাবে জল্পনাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। জল্পনায় সর্বশেষ খবর , কমপক্ষে ৫৫ জন বিধায়ক পর্যায়ক্রমে দল ছাড়তে পারেন। শুধু বিধায়কই নয় ৮ জন সাংসদও দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চলেছেন ।
কারণ, সংখ্যাটা ৮ হলে দলবিরোধী আইনের কোপে পড়তে হবে না ওই সাংসদদের। অন্য দল ভাঙিয়ে নিজের দলকে গত ১০বছরে পুষ্ট করার যে প্রক্রিয়া মমতা ব্যানার্জি কার্যকর করছিলেন , সেই প্রক্রিয়াই আজ বুমেরাং হয়ে ফিরছে তার দিকে। একদিন দলত্যাগীরা ‘উদ্বুদ্ধ ‘ হতেন মমতা ব্যানার্জির ‘উন্নয়নে’, আবার সেই মানুষেরা আজ ‘উদ্বুদ্ধ’ হচ্ছেন মোদী-শাহের ‘উন্নয়নে’।
