
ইস্টার্ন টাইমস , কলকাতা: বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের বাগযুদ্ধ তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে দলবদলের পর বছরের শেষ রবিবার দাঁতনে প্রথম সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে গোটা শহরজুড়ে ছেয়ে গিয়েছে তাঁর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স-ব্যানারে। পাশাপাশি উধাও হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার-ব্যানার।
আর এনিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।অন্যদিকে , ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে ‘ভাইপো’ আক্রমণের জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু স্লোগান তুলেছিলেন ‘তোলাবাজ ভাইপো হাটাও’।
তার উত্তরেই রবিবার অভিষেক বলেন, “নারদায় টাকা নিয়েছিলে তুমি। তোলাবাজ তো তুমি।” অভিষেকের অভিযোগ সারদা, নারদায় নাম রয়েছে শুভেন্দুর, আমার নাম কোথাও নেই ছবিও নেই।
এদিননিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার থেকে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড৷ নাম না করে শুভেন্দুকে মেরুদন্ডহীন, পাল্টিবাজ বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷
এমনকি শুভেন্দুকে বেইমান বলতেও ছাড়েননি অভিষেক৷ অভিষেকের কথায়, ৬ মাস আগেই যে নেতারা বিজেপি হঠাও বলেছিলেন, তারাই এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বড়বড় কথা বলছেন৷
একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তৃণমূল থেকে ৪টে খুচরো নেতা নিয়ে গেলে দল শেষ হয় না৷ অর্থাৎ শুভেন্দু সহ অন্য নেতারা বিজেপিতে চলে গেলেও তাতে কোনও পরিবর্তন ঘটবে না বাংলার রাজনীতিতে৷ অধিকারী পরিবারের এখনও দুই সদস্য তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত৷ তাঁদের সঙ্গে এক বাড়িতে কীভাবে থাকেন শুভেন্দু, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷ শুভেন্দুকে উপসর্গহীন করোনার সঙ্গেও তুলনা করেন অভিষেক৷ রবিবারে ডায়মন্ড হারবারের সভায় অভিষেকের বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল শুভেন্দুকে আক্রমণ৷
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, ‘এক বাপের ব্যাটা হলে ডায়মন্ড হারবার দখল করে দেখাক।’
