
ইস্টার্ন টাইমস , নয়াদিল্লি :ভারতের সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কটের ডাক দিল দেশের ১৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।সিনিয়র কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করবে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনের প্রধান কারণ হ’ল কৃষক আইন বিরোধী আন্দোলনে সরকারি দমন পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।
২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লিতে। পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষে রীতিমত অশান্তির আবহ রাজধানীতে। তবে এর পরও কৃষি আইন বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মোদী-শাহ সরকার। বরং লালকেল্লা কান্ডের পর এফআইআর দায়ের হয়েছে ২৫ কৃষক নেতার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই কৃষকদের পাশে থেকে সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কটের ডাক দিল দেশের ১৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। যেখানে তারা বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ভাষণ সংসদে বর্জন করবেন বলে জানিয়েছেন।
নেতারা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের জন্য তাদের সম্মিলিত দাবি এবং প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে।কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপির শরদ পওয়ার, শিব সেনার সঞ্জয় রাউত- সহ একাধিক নেতারা এই প্রতিবাদ-বয়কটে অংশ নেবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই তিন আইন বাতিল করা না হলে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা – এমএসপি, সরকারী সংগ্রহ এবং পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (পিডিএস) কাঠামো ভেঙে যাবে।
রাজ্য ও কৃষক ইউনিয়নের সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই আনা হয়েছিল। অনেকেই সহমত প্রকাশ করেনি। ই আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।” বিবৃতিতে এও বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সরকার তাদের প্রতিক্রিয়াতে অহঙ্কারী, অবিচল এবং অগণতান্ত্রিক রয়েছে।
সরকারের এই অ-সংবেদনশীলতা দেখে হতবাক আমরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কৃষক বিরোধী আইন বাতিল করার এবং ভারতীয় কৃষকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে লড়াই করবে। সম্মিলিত দাবি জানিয়ে এই আইন পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান হচ্ছে।”
